বার্তা সংস্থা ইকনা: রোববার করাচির গভর্নর হাউজে ডেম ফান্ডরাইজিং অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ইমরান খান বলেন, করাচির পথে ঘাটে অপরাধ বৃদ্ধি অন্যতম কারণ, এখানে নিম্ন শ্রেণির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধনী গরিবের মাঝে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাঙালি ও আফগানিদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বানিয়ে দিবো। কারণ তারা এখানেই জন্মগ্রহণ করেছে। তাদের সহযোগিতা করলে এ শ্রেণিটির অগ্রসর হওয়ার সুযোগ হবে। এ দেশ তখনই অগ্রসর হবে যখন নিম্ন শ্রেণিরা উঠে আসবে।
ইমরান খান বলেন, চীন সুপার পাওয়ার এই জন্যই হয়েছে যে, তারা ৩০ বছরে ৭০ কোটি মানুষকে দারিদ্রতা থেকে বের করে নিয়ে এসেছে। আমরা করাচিকে প্রথমধাপে মাস্টার প্লান হিসেবে গড়ে তুলবো। এ মাস্টার প্লানের অধীনে যে খালি জায়গা থাকবে সেখানে বনায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, ইমরান খান তার বক্তব্যে করাচিতে বসবাসকারী চার লাখ বাঙালি ও আফগানির কথা উল্লেখ করলেও পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সেখানে ও তার আশপাশ এলাকায় বাঙালিদের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। তারা করাচি ও শহরতলীতে প্রায় ১০৫টি বাঙালি বস্তিতে বসবাস করে। তাদের অধিকাংশই ভারত ভাগের পর থেকেই বংশ পরম্পরায় সেখানে রয়েছে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভাগের পর তাদের অনেকেই করাচি শহরে চলে যায় এবং তাদের নাগরিকত্বও আটকে দেওয়া হয়। লাখ লাখ এই বাঙালিকে পাকিস্তান এখনও তাদের নাগরিক হিসাবে মর্যাদা দেয়নি। বর্তমানে গোটা পাকিস্তানে বাঙালিদের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ বলে বিভিন্ন পাকিস্তানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নানা সময়ে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সূত্র : পাকিস্তান টুডে, জিও টিভি ও ডেইলি পাকিস্তা