IQNA

মহানবী (সা.)-এর মুয়াজ্জিন ছিলেন যিনি

23:20 - April 27, 2024
সংবাদ: 3475375
ইকনা: বিলাল (রা.) একজন বিখ্যাত সাহাবি। তিনি মসজিদে নববীর প্রধান মুয়াজ্জিন ছিলেন। ইসলামের জন্য তিনি অকথ্য জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। ঈমানের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তিনি পৃথিবীর মানুষকে ত্যাগ ও ধৈর্যের নমুনা উপহার দিয়েছেন। তাঁর জীবনের অংশবিশেষ উল্লেখ করা হলো—
জন্ম ও পরিচয়

বিলাল (রা.) ৫৮০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রাবাহ ছিলেন একজন ক্রীতদাস। তাঁর মাতা হামামাহ ছিলেন বর্তমান ইথিওপিয়ার একজন রাজকুমারী।

আসহাবুল ফিলের ঘটনায় তাঁকে বন্দি করে দাসী বানানো হয়। বনু জুমাহ ছিল তাঁদের মনিব। তিনি ছোটবেলা থেকে প্রচুর পরিশ্রমী ছিলেন।
ইসলাম গ্রহণে নির্যাতন ভোগ

বিলাল (রা.)-এর বাহ্যিক রং কালো হলেও হৃদয় ছিল স্বচ্ছ।

আর চরিত্র ছিল ফুলের মতো পবিত্র। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মুখে তাওহিদের বাণী শুনে ইসলাম গ্রহণ করেন। নির্ভয়ে ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, সর্বপ্রথম যাঁরা তাঁদের ইসলাম গ্রহণ করার কথা প্রকাশ করেন তাঁরা হলেন সাতজন। রাসুলুল্লাহ (সা.), আবু বকর, আম্মার, তাঁর মা সুমাইয়া, সুয়াইব, বিলাল ও মিকদাদ (রা.); অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আল্লাহপাক তাঁর চাচা আবু তালিবের মাধ্যমে হেফাজত করেন।

আর অন্যদের মুশরিকরা পাকড়াও করে এবং তাঁদের লোহার জামা পরিধান করিয়ে প্রখর রোদের মাঝে চিত করে শুইয়ে দিত। তাঁদের মধ্যে এমন কেউ ছিলেন না যাঁকে তারা তাদের ইচ্ছানুসারে নির্মম অত্যাচার করেনি। তবে বিলাল (রা.) নিজেকে আল্লাহর রাস্তায় সঁপে দিয়েছিলেন এবং লোকেরা তাঁকে অপমানিত করেছিল। তারা তাঁকে পাকড়াও করে বালকদের হাতে তুলে দিয়েছিল। তারা তাঁকে নিয়ে মক্কার অলিগলিতে ঘুরে বেড়াত। আর তিনি শুধু আহাদ, আহাদ (আল্লাহ এক, আল্লাহ এক) বলতেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৫০)

বিলাল (রা.) ছিলেন উমাইয়া ইবনে খালফের গোলাম। অত্যাচারী উমাইয়া নিত্যনতুন কলাকৌশল প্রয়োগ করে তাঁকে কষ্ট দিত।

২ মার্চ ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে, ২০ হিজরি সনে ৬০ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। দামেস্কের বাবুস সাগিরের কাছে তাঁকে দাফন করা হয়।

captcha