IQNA

গাজায় সহায়তা বাড়িয়েছে আরব দেশগুলো

1:06 - November 16, 2023
সংবাদ: 3474658
তেহরান (ইকনা): ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সৌদি আরব, আমিরাতসহ আরব দেশগুলো সহায়তা কার্যক্রম আগের চেয়ে বহুগুণ বাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় উদ্যোগে ১৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে সৌদি আরব। গত ছয় দিনে খাদ্য, আশ্রয়ণ সামগ্রীসহ ছয়টি ত্রাণবাহী বিমান পাঠিয়েছে দেশটি। রিয়াদের কিং খালিদ বিমানবন্দর থেকে এসব বিমান মিসরের আল-আরিশ বিমানবন্দর পৌঁছে।
সেখান থেকে রাফাহ ক্রসিং হয়ে ত্রাণসামগ্রী গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য পাঠানো হয়। তা ছাড়া জাতিসংঘ পরিচালিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ সংস্থাকে (ইউএনআরডাব্লিওএ) জরুরি সহায়তার অংশ হিসেবে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে সৌদি আরব। এই অনুদান দিয়ে উদ্বাস্তুদের মধ্যে খাদ্য, আশ্রয়, অখাদ্য আইটেম, ওষুধ, পানি ও স্যানিটেশন সরবরাহ করা হবে। মূলত সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদের নির্দেশনায় কিং সালমান হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের তত্ত্বাবধানে এসব সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
 
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা আরব আমিরাতও ‍গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা বাড়িয়েছে। উপসাগরীয় দেশটি এখন পর্যন্ত ৬৪টি ত্রাণবাহী বিমান পাঠিয়েছে। তা ছাড়া গাজা উপত্যকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে ১৫০ শয্যার একটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণে কাজ করছে দেশটি। এতে সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, শিশুরোগ, গাইনিকোলজি, অ্যানেসথেসিয়াসহ নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট থাকবে।
এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বহনকারী ছয়টি বিমান পাঠিয়েছে তারা। যখন গাজার নাসর, শিফা, কুদসসহ বড় বড় হাসপাতাল খালি করে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে, তখন স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র কেন্দ্র হিসেবে এ ধরনের ছোট হাসপাতালের গুরুত্ব রয়েছে। আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশনায় দেশটি মানবিক উদ্যোগ ‘গ্যালান্ট নাইট থ্রি’ এর অংশ হিসেবে সার্বক্ষণিক কূটনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করছে।
গত ১১ নভেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও আরব লীগের জরুরি ইসলামী শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোকে ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বলা হয়।
যদিও নৃশংস যুদ্ধ এবং নারী ও শিশুদের হত্যাকাণ্ড বন্ধে সম্মেলনটি প্রত্যক্ষভাবে বড় ভূমিকা রাখেনি, তবে এর পর থেকেই ব্যাপকভাবে আরব দেশগুলোর সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তথ্যসূত্র : আরব নিউজ
captcha