ডব্লিউএইও জানায়, ওমিক্রনের কারণে যদি কারোনা আরেকটি ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। তবে সোমবার পর্যন্ত ওমিক্রনের সংক্রমণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে ডব্লিউএইও জানিয়েছে। এদিকে , ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকা কার্যকর কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইও।
ডব্লিউএইচওর আশঙ্কা, ওমিক্রনে সংক্রমণ এবং রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। বিষয়টি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুও বাড়াতে পারে।
ডব্লিউএইচও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব হবে ভয়াবহ, বিশেষ করে কম টিকা দেওয়া দেশগুলোতে এটা মারাত্মক হতে পারে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
রূপ বদলেই করোনা ভাইরাসের এই ধরন নিজের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। আগের সব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। এমনকি করোনার নতুন এই ধরনটি টিকার কার্যকারিতাকেও ফাঁকি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে থাকেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে নতুন ধরন ওমিক্রনকে বলা হচ্ছে 'সুপার ভ্যারিয়েন্ট'।