বার্তা সংস্থা ইকনা: সীমান্ত পরিচালক সামি সুদানি ১০ অক্টোবর বলেন, স্থল পথে, আকাশ পথে এবং নৌ পথে এ সকল জিয়ারতকারীগণ কারবালায় পৌঁছেছেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়ারতকারীর সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা এখনও আরও হাজার হাজার যায়ের (জিয়ারতকারী) ইমাম হুসাইনের (আ.) আজাদারি পালনের জন্য ইরাক অভিমুখে আসছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছেন: এখনও সীমান্তসমূহে বহু তীর্থযাত্রী ইরাকে প্রবেশ করার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের আন্তরিক চাওয়া হচ্ছে তারা কারবালায় উপস্থিত হয়ে ইমাম হুসাইনের জন্য আজাদারি পালন করবেন।
কামেলুয জিয়ারত নামক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) কারবালার ঘটনার পরে অলৌকিকভাবে কারবালাতে আসেন এবং বনি আসাদের সাহায্য নেন এবং যেহেতু মাথা এবং শরীরের সনাক্তকরণ ছিল একটি সমস্যা ছিল কিন্তু ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) এ সমস্যার সমাধান করেন এবং শহীদদের সনাক্ত করেন।
তিনি ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র লাশের কাছে যান এবং একাই তাঁকে দাফন করেন এবং বলেন: কেউ কি আছে যে আমাকে সাহায্য করবে। তারপর তিনি ইমাম (আ.)’র কবরের উপরে লিখে দেন, ইনি হচ্ছেন সেই হুসাইন যাকে তৃষ্ণার্ত এবং অহসায় অবস্থায় শহীদ করা হয়।
কারবালায় সর্বদা ফেরেশতারা ইমাম হুসাইনের জিয়ারত করেন এবং তার জন্য আজাদারি করেন। আর এ জন্যই আশেকানে আহলে বাইত কারবালায় গিয়ে আশুরা পালন করার জন্য আকুল হয়ে থাকেন।
iqna