বার্তা সংস্থা ইকনা: আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আঃ) বলেন, “ নিম্নোক্ত শ্রেণীর লোকদের সঙ্গ পরিত্যাগ কর (ক) যারা কথোপকথনকালে তোমাকে বিষণ্ণ ও অবসাদগ্রস্ত করে। (খ) যারা তোমার সম্মুখে প্রশংসা করে এবং পশ্চাতে কুৎসা রটনা করে। (গ) যারা সামান্য বিরোধিতাতে ভীষণ ক্রোধান্বিত হয় এবং তোমাকে ভার্সন করে। (ঘ) যাদের কথা ও কাজের মধ্যে কোন সাযুজ্য নেই এবং (ঙ) যারা অন্যের ছিদ্রান্বেষণের উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে। ” তিনি বলেন,
“ ফাসেক, পাপাচারী এবং প্রকাশ্য গুনাহকারীদের সঙ্গ থেকে বিরত থাক। ” তিনি আরও বলেন,
“ জ্ঞানী শত্রু“ নির্বাধ বন্ধু অপেক্ষা শ্রেয়। ” এটা সর্বজনবিদিত সত্য যে,জ্ঞানী শত্রু“ চিহ্নিত এবং তার শত্রু“তাও প্রকাশ্য। এ কারণে তার থেকে নিরাপদে থাকা সহজতর। নির্বাধ বন্ধু যদি আমাদের উপকারও করতে চায়, তবুও নির্বুদ্ধিতার দরুন অনিষ্ট করে থাকে।
মানুষ কখনো অপরাধ করে আবার কখনো অন্যের কোন অন্যায় কাজের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির কৃত অপরাধের অংশীদার হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে ইঙ্গিত করে ইমাম আলী (আঃ) বলেন,
“একটি সম্প্রদায়ের কোন কাজের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ, সে কাজের সাথে সম্পৃক্ততাকে বুঝায়। যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজে সম্পৃক্ত থাকবে সে দু’টি গুনাহ করবে: একটি উক্ত অন্যায় কাজ সম্পাদনের কারণে এবং অপরটি সে কাজের প্রতি সন্তুষ্টি থাকার কারণে। ”
ইমাম আলী (আঃ) আরও বলেন,“ নিশ্চয়ই মানুষের কোন কাজের প্রতি সম্মতি অথবা অসম্মতি ব্যক্ত করা বস্তুত: সে কাজের সাথে সম্পৃক্ততা অথবা অসম্পৃক্ততাকে বুঝায়। সামুদ গোত্রের (নবী হযরত সালেহ্ (আঃ)-এর গোত্র) উটকে এক ব্যক্তি হত্যা করেছিল। কিন্তু যেহেতু গোত্রের অন্যরা সে কাজে সম্মতি জ্ঞাপন করেছিল। সেহেতু আল্লাহ এ অপরাধকে গোত্রের অন্যদেরও অপরাধ হিসেবে গণ্য করেন এবং সকলের উপর কঠিন আযাব নাজিল করেন।”
তিনি আরও বলেন,
“ অত্যাচারী, অত্যাচারীকে সহায়তাদানকারী এবং অত্যাচারে সম্মতিদান-কারী প্রত্যেকেই সম অপরাধী। ”
এছাড়া ইমাম জাফর সাদীক (আঃ) বলেন,
“ সাবধান! মিথ্যাবাদীর সঙ্গী হবে না। কেননা, সে তোমাকে উপকার করতে যেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। দূরবর্তী কোন কিছুকে নিকটবর্তী এবং নিকটবর্তী কোন কিছুকে দূরবর্তী করে তোমার সম্মুখে উপস্থাপন করবে। যদি তাকে বিশ্বাস কর তবে সে খেয়ানত করবে। ”