বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাসূলের (সা.) ওফাতের পর ক্ষমতা লিপ্সু ও সুবিধাবাদী এক দল অবৈধভাবে মুসলমানদের উপর চেপে বসে। তারা নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে রাসূলের (সা.) ঘোষিত খলিফা তথা আমিরুল মু’মিনিন আলীকে (আ.) বঞ্চিত করে খেলাফতের মসনদে আরোহণ করে। শুধু তাই নয় রাসূলের (আ.) পরিবারবর্গ তথা আহলে বাইতের (আ.) উপর অমানবিক নির্যাতন ও জুলুম চাপিয়ে দেয়।
এ সংকটাপন্ন সময়ে যদিও বাহ্যিকভাবে মুসলমানরা মক্কা ও মদীনার আশেপাশে অনেক অঞ্চল দখল করতে সক্ষম হয়; কিন্তু পার্থিব দিক থেকে ব্যাপক অগ্রসর লাভ করলেও আত্মিক এবং আধ্যাত্মিক দিক থেকে তেমন অগ্রসর হতে পারে নি। এ সময়ে রাসূলের (সা.) একনিষ্ঠ ও ত্যাগী সাহাবিরা যেমন: হযরত আবুজার, সালমান ফারসী প্রমুখ কোণঠাসা অবস্থাতে ছিল। কিন্তু অপর দিকে বনি উম্মাইয়া তৃতীয় খলিফার সময় থেকে মুসলমানদের সম্পদ লুটপাট ও আত্মসাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। আর তৃতীয় খলিফার পর মুয়াবিয়া এক গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং নিজের ইচ্ছামত ইসলামের বিধানাবলীতে পরিবর্তন শুরু করে দেয়। যেমন আযান থেকে হাইয়া আলা খাইরিল আমাল শব্দটি বাদ দেয়া হয়, যা রাসূলের সময় আযানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল।