বার্তা সংস্থা ইকনা: এটি ছিল একত্ববাদীদের প্রথম ইবাদত-কেন্দ্র যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হযরত আদম (আ)]
এর এক হাজার ১৮৭ বছর আগে হযরত নুহ (আ)’র যুগ সংঘটিত মহাপ্লাবনে ধ্বংস হয়ে যায় এই পবিত্র ঘর। বন্যার ফলে কিউব বা চারকোনা আকৃতির এই ঘর লাল বর্ণের একটি ঢিবিতে পরিণত হয়েছিল। পবিত্র হজরে আসোয়াদ বা কালো পাথরটি উদ্ধার করা হয় নিকটবর্তী আবু কুবাইস পর্বত থেকে। পিতা ও পুত্র এ পাথরটি স্থাপন করেন কাবার এক কোনায়।
পুত্র ইসমাইলকে নিয়ে কাবাঘরের ভিত্তি গড়ে তোলেন হযরত ইব্রাহিম (আ)। এ প্রসঙ্গে সুরা বাকারার ১২৭ নম্বর আয়াতে এসেছে: স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাইল কা’বা ঘরের ভিত্তি স্থাপন করছিল। তারা দোয়া করেছিলঃ হে পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে (এ কাজ) কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।
পবিত্র কাবা ঘর মুসলমানদের ইবাদতের কেবলা। এমন কোনো সেকেন্ড বা মুহূর্ত নেই যখন মুসলমানরা মহান আল্লাহর এই প্রতীকী ঘরের দিকে মুখ করে মহান আল্লাহর উদ্দেশে রুকু ও সিজদা করছেন না। পবিত্র কাবা ঘরের ভেতরে জন্ম-নেয়া একমাত্র ব্যক্তি হলেন আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (আ.)।