IQNA

নির্জন কারাগারে সুদানের তিন দশকের শাসক বশির

19:03 - April 18, 2019
সংবাদ: 2608369
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে মঙ্গলবার রাজধানী খারতুমের কোবার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বশিরের পারিবারিক দুটি সূত্র থেকে এ খবর জানা গিয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: কারাসূত্র জানায়, কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে বশিরকে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করলে কড়া প্রহরায় আটক রাখা হয়েছিল তাকে। তখন তাকে যেখানে রাখা হয়েছিল, সেটি ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের একটি কম্পাউন্ড।
এদিকে যে বিক্ষোভকারীরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান করছে, তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছে ক্ষমতায় থাকাকালীন অপরাধের জন্য বশিরকে আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত তারা অবস্থান ত্যাগ করবে না। এছাড়া বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্তও তাদের বিক্ষোভ চলবে।
সরকার অস্বীকার করলেও কারাগার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কোবার জেলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ওমর আল বশিরকে রাখা হয়েছে।
বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ বিন আউফ। তিনি বলেন, বশিরকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। ৩০ বছর ধরে দেশ শাসন করে আসা ওমর আল বশিরের পতন হয় গত সপ্তাহে।
এখন এই পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। দুই বছরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোবর জেলখানার আশাপাশে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর অনেক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। খার্তুমের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই জেলখানাটির চারপাশে এখন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সেনা সদস্যরা গাড়ির ওপরে মেশিন গান তাক করে টহল দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে ক্ষমতা থেকে উৎখানের পর ওমর আল বশিরকে তার বাসভবনে কড়া পাহাড়ায় রাখা হয়েছিল। সে সময় তার বাড়ির চারদিকে সেনাবাহিনীর যে কড়া পাহাড়া ছিলো এখন তা দেখা যাচ্ছে কোবার জেলের কাছে। তাই সরকার স্পষ্ট করে না বললেও ধারণা করা হচ্ছে কোবর জেলেই নেয়া হয়েছে দীর্ঘ দিনের শাসককে।
২০০৩ সালে দারফুর সঙ্ঘাতে প্রাণহানীর ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ওমর আল বশিরসহ ওই সময়ের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সেনাকর্মকর্তাকে। iqna

captcha