বার্তা সংস্থা ইকনা: কানাডার আলবার্তো প্রদেশর এডমন্টন শহরের ইমাম হুসাইন (আ.) ইসলামিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন: উক্ত শোকানুষ্ঠান আগামীকাল (২২শে ফেব্রুয়ারি) ইমাম হুসাইন (আ.) ইসলামিক সেন্টারের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
ইমাম হুসাইন (আ.)এর সৎ ভাই হযরত আব্বাস (আ.)এর মাতা হযরত উম্মুল বানিনের ওফাত বার্ষিকীর শোকানুষ্ঠান আগামীকাল স্থানীয় সময় ১৯টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হবে। পরবর্তীতে এই আহলে বায়েত এবং মহীয়সী নারীর জীবনীর আলোকে বক্তৃতা পেশ করা হবে। এছাড়াও মর্সিয়া, নওহা ও মাতম করা হবে।
উম্মুল বানিন নামে প্রসিদ্ধ ফাতিমা বিনতে হেযাম ইমাম আলী (আ.)এর সহধর্মিণী। তিনি তাকওয়া ও নৈতিকতার দিক থেকে ছিলেন সবার শীর্ষে। তিনি তার সন্তানদেরকে অতি ধার্মিক ও আধ্যাত্মিকভাবে গড়ে তুলে ছিলেন। আর বেলায়াতের আনুগত্যের জন্য তাদেরকে নিবেদিত প্রাণ হিসাবে গড়ে তুলে ছিলেন।
তার প্রথম সন্তান হচ্ছেন হযরত আবুল ফাজলে আব্বাস। অত:পর আব্দুল্লাহ, জাফর এবং ওসমান পর্যায়ক্রমে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত উম্মুল বানিনের এই চার সন্তানই আশুরার দিনে কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন। চার সন্তান থাকার কারণে তিনি উম্মুল বানিন হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন।
উম্মুল বানিন সর্বদা রাসূল(সা.)-এর দুই সন্তান ও বেহেশতের যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইনকে সেবা-যত্ন করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এবং সর্বদা মা ফাতিমার শূন্যস্থানকে পূরণ করার চেষ্টা করতেন।
মা ফাতিমা যাহরা(সালামুল্লাহ আলাইহা)মাত্র ১৮ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন এবং তার পবিত্র শিশুরা মায়ের সেবা-যত্ন থেকে বঞ্চিত হন। কিন্তু হযরত উম্মুল বানিন সর্বদা তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন এবং তাদের মনকষ্ট কমানোর চেষ্টা করতেন। আর ইমাম হাসান ও হুসাইন(আ.) অনেকটাই তার কাছে মায়ের আদর-যত্ন পেতেন। হযরত উম্মুল বানিন নিজের সন্তানদের থেকে মা ফাতিমার সন্তানদের প্রতি বেশী খেয়াল রাখতেন এবং বেশীর ভাগ ভালবাসা ও স্নেহ-মমতাকে তাদের জন্য উৎসর্গ করতেন। পৃথিবীর ইতিহাসে হযরত উম্মুল বানিন ছাড়া আর কোন নারী দেখা যায় নি যারা নিজের সন্তানের উপর সতিনের সন্তানদেরকে প্রাধান্য দেয়।
হিজরি ৬৪ সনের ১৩ই জামাদিউস সানী মহীয়সী রমণী হযরত উম্মুল বানিনের ওফাত দিবস। কোন কোন ইতিহাসবিদগণের মতে তিনি ৬৪ হিজরির ১৮ই জামাদিউস সানীতে ইন্তেকাল করেন। iqna